ইসলাম ইউরোপকে যা শিখিয়েছে
খৃস্টোত্তর যুগের প্রথম সাতশো বছর ছিলো পৃথিবীর পক্ষে ‘আইয়ামে- জাহেলিয়াত’ বা অজ্ঞানতার যুগ। ইউরোপে তাকে Dark Ages বা অন্ধকার যুগ বলা হয়। তার পরেই হলো অজ্ঞাত, অখ্যাত মরুচারী আরব যাযাবরদের সদর্পে ইতিহাসে পদক্ষেপ। তারা কেবল রাজ্যের পর রাজ্য জয় করেই ইসলামিস্তানের সীমানা বাড়ায় নি, তাদের বহু মনিষী ও সাধকের অক্লান্ত পরিশ্রমে ও সুগভীর সাধনায় দর্শন, বিজ্ঞান, সাহিত্য প্রভৃতি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার প্রভূত উৎকর্ষ সাধিত হয়েছিলো, স্থাপত্য, চিত্র ও চারুকলা, সংগীত প্রভৃতি কলাবিদ্যার অতি উচ্চাংগের বিকাশ হয়েছিলো। অসীম কৌতূহল ও অতৃপ্ত অনুসন্ধিৎসা নিয়ে তারা প্রাচীন জাতিসমূহের জ্ঞান-সম্পদ ও কালচারের উক্তরাধিকারকে আহরণ করে অনুশীলন ও চর্চার দ্বারা আরো ফলপ্রদ ও প্রাণবন্ত করে তুলেছিলো। সারা মধ্যযুগে আরবীরা ও মুসলমানরাই ছিলো বিশ্ব সভ্যতা ও কৃষ্টির ধারক ও বাহক-তার দরুন তারাই ছিলো সে-আমলের খ্রিস্টজগতের জ্ঞান-বিজ্ঞানের একমাত্র উপযুক্ত শিক্ষাদাতা। এ-শিক্ষা তারা গৌরবের সংগেই ইউরোপকে দান করেছিলো এবং তাদের শিক্ষার দ্বারাই উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত হয়ে আধুনিক খ্রিস্টজগত দুনিয়ায় জ্ঞান-বিজ্ঞানের ধারক ও বাহক হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছে। একথা বলা মোটেই অত্যুক্তি হবে না যে, ইসলামিস্তানের সংস্পর্শে না এলে এবং মুসলিমদের শিক্ষা-সম্পদ না পেলে ইউরোপের বর্তমান জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষ এতো দ্রুত ও সাফল্যমণ্ডিত হতো না।
Be the first to review “ইসলাম ইউরোপকে যা শিখিয়েছে”