ভূমির মালিকানা বিধান
বইটিতে সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী কুরআন ও হাদিসের আলোকে ভূমির মালিকানা সকল বিষয়াদী তুলে ধরেছেন।
গ্রন্থকার সূরা আর-রহমানের وَالْأَرْضِ وَضَعَهَا لِلأنام আয়াতটি থেকে এই বিধান বের করেছেন যে, ভূমির ব্যক্তি মালিকানা অর্থাৎ জমিদারী প্রথা জায়েয নয়। অতএব তিনি পাদটীকায় লিখেছেনঃ “কুরআনের যেখানে যেখানে ভূমির উত্তরাধিকার সম্পর্কে উল্লেখ হয়েছে সেখানে রাষ্ট্রীয় মালিকানাকে বুঝানো হয়েছে, ব্যক্তি মালিকানা তথা জমিদারী বুঝানো হয়নি। জমি থেকে উপকৃত হবার অধিকার ছাড়া মালিকানা প্রতিষ্ঠার অধিকার কুরআনে দান করেনি।” এখানে টীকার উল্লেখিত মত গঠন করতে গিয়ে লেখক স্পষ্টত সত্যের সীমালংঘন করেছেন। তাঁর চিন্তা করার ছিল যে, কুরআন নাযিল হওয়ার ১. যাঁর লেখা পুত্তকের সমালোচনা করা হচ্ছে তাঁকে বুঝানো হয়েছে। ভূমির মালিকানা বিধান ৮ সময় গোটা পৃথিবীতেই জমির ব্যক্তি মালিকানা প্রথা প্রচলিত ছিল, শত শত বছর ধরে তা চলে আসছিল এবং তা তামাদ্দুনের’ বুনিয়াদী নীতির অন্তর্ভুক্ত ছিল। ভূমি হতে উপকৃত হওয়ার এ সুপ্রাচীন প্রথার আমূল পরিবর্তন করা এবং ব্যক্তি মালিকানার পরিবর্তে জাতীয় মালিকানার পন্থা চালু করাই যদি প্রকৃত- পক্ষে কুরআনের উদ্দেশ্য হতো, তাহলে এরূপ বিপ্লবাত্মক মৌলিক পরিবর্তনের জন্য কি এরূপ প্রকাশভঙ্গি যথেষ্ট ছিল যা والأرض وضعها للانام আয়াতে ব্যবহার করা হয়েছে? একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারা যায় যে, এরূপ গুরুত্বপূর্ণ এবং বুনিয়াদী সংশোধনের জন্য শুধু ভাসা ভাসা ইঙ্গিত যথেষ্ট হতে পারে না, বরং সুস্পষ্ট বিধান দেয়ার প্রয়োজন হয়। আর এ ধরনের পরিবর্তনের জন্য পূর্ব প্রথাকে বিলোপ করাই যথেষ্ট নয়, বরং তার মূলোৎপাটনের সাথে সাথে নিজের তরফ থেকে বিকল্প একটি নীতিমালাও পেশ করতে হয়।
Be the first to review “ভূমির মালিকানা বিধান- Best book”