বিশ্বাস ও আত্নোন্নয়ন
যারা বিশ্বাসী নয় তারাই অবিশ্বাসী। অবিশ্বাসীদের সবচেয়ে বড় যুক্তি এই যে, বিশ্বাসীরা তাদের বিশ্বাসের স্বপক্ষে কোনো বাস্তব প্রমাণ পেশ করতে অক্ষম। যেহেতু প্রমাণ নেই সেহেতু বিশ্বাস স্থাপনও অযৌক্তিক। বিশ্বাসী নয় এমন অনেকে আবার সংশয়বাদী। সংশয়বাদীরা বলে থাকে যে, সৃষ্টিকর্তা, পরকাল, বেহেশত, দোযখ ইত্যাদি বিষয় সুস্পষ্টভাবে মানব মনের বোধগম্য নয়। অতএব তা সত্য বলে গ্রহণ করা যায় না। অবিশ্বাসী ও সংশয়বাদীদের এসব যুক্তির বিপরীতে বিশ্বাসীদের বক্তব্য যে, কোনোরূপ প্রমাণ ব্যতিরেকেই বিশ্বাসস্থাপন করা যায় শুধুমাত্র বিচার- বুদ্ধির বিশ্লেষণের দ্বারা। অদৃশ্যে বিশ্বাস স্থাপন করার জন্য কোনো প্রমাণ নবী-রাসূলগণ হাজির করেননি এবং তারা কখনো দাবি করেননি যে, তাদের নিকট প্রমাণ রয়েছে। বরং তারা দাবি করেছেন যে, তাদের নিকট জ্ঞানের একটি উৎস রয়েছে যা সাধারণ মানুষের নিকট নেই। তারা এও বলেছেন যে, তাদের বক্তব্য কল্পনা নির্ভর নয়। তাদের নিকট যে জ্ঞান এসে থাকে তারা শুধু তাই বলেন। মনগড়া কিছু তারা বলেন না। মানুষ যদি তাদের কথা বিশ্বাস করে তবে তাতে মানুষের কল্যাণ নিহিত রয়েছে। মানুষ, নবী- রাসূলগণের কথাকে সত্য বলে গ্রহণ করে আল্লাহতে বিশ্বাসী হয়েছে। এ বিশ্বাসের পেছনে তাদের কারণ হচ্ছে, নবী-রাসূলগণ ছিলেন নিষ্কলুষ চরিত্রের অধিকারী। মিথ্যা দাবি করার কোনো কারণ ছিল না এবং দাবির পেছনে ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধারের কোনো প্রয়াস মনে হয়নি। নবী-রাসূলগণের বক্তব্য অসংগতিপূর্ণ ছিল না। বরং তাদের আদেশ-নির্দেশের মধ্যে মানব কল্যাণের দিকনির্দেশনা রয়েছে।
Be the first to review “বিশ্বাস ও আত্নোন্নয়ন”