জ্বিন ও শয়তান জগৎ
বইটিতে শাইখ আব্দুল হামীদ ফাইযী আল-মাদানী জ্বিন ও শয়তান সর্ম্পকে বইটিতে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। জ্বিন-জগৎ একটি পৃথক জগৎ। সে জগৎ মনুষ্য-জগৎ ও ফেরেস্তা-জগৎ থেকে ভিন্ন। তবে জ্বিন ও ইনসানের মধ্যে কিছু বিষয়ে সাদৃশ্য আছে। যেমন জ্ঞান-বুদ্ধি ও ভালো-মন্দ নির্বাচন করে চলার ক্ষমতা ইত্যাদি। অবশ্য বহু বিষয়ে জ্বিন মানুষ থেকে পৃথক। সবচেয়ে বড় পার্থক্য হল, মানুষের সৃষ্টি-উপাদান জ্বিনের সৃষ্টি-উপাদান থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত। জ্বিনকে ‘জ্বিন’ কেন বলা হয়? আরবীতে ‘জিন্ন’ মানে আড়াল, অন্তরাল, পর্দা, গোপন ইত্যাদি। যেহেতু জ্বিন জাতি মানুষের চক্ষুর অন্তরালে গোপন বা অদৃশ্য থাকে, তাই তাদেরকে ‘জ্বিন’ বলা হয়। আবার এ কথা আমরা জানি যে, মনুষ্য জাতির মতোই জ্বিন জাতির মধ্যে ভালো- মন্দ আছে। তবে তাদের মন্দের গুরু হল শয়তান, যার কথা আমরা বহু বলে থাকি ও শুনে থাকি। যার কথা কুরআন-হাদীসেও বহুবার আলোচিত হয়েছে। শয়তান শুরুতে মহান প্রতিপালকের ইবাদতগুযার ছিল। আসমানে ফিরিশ্তার সঙ্গে বাস করেছে, জান্নাতেও ঢুকেছে। কিন্তু মহান আল্লাহ যখন তাকে আদমকে সিজদা করার আদেশ করলেন, তখন সে হিংসা ও অহংকারবশতঃ অবাধ্যতা করে বসল। সুতরাং মহান আল্লাহ তাঁকে অভিশপ্ত ও বিতাড়িত করলেন। আরবী ভাষায় ‘শায়তান’ অবাধ্য বিদ্রোহীকে বলা হয়। যেহেতু সে নিজ প্রতিপালকের অবাধ্যতা ও বিদ্রোহ করেছে, তাই তাকে ‘শয়তান’ বলা হয়।
Be the first to review “জ্বিন ও শয়তান জগৎ”