সূরা ফাতিহাহ্ বা উদঘাটিকা দিয়ে আল্-কুরআনের দ্বার উন্মোচন করা হয়েছে। এর “বারবার পঠিত সাতটি আয়াত” (কুরআন ১৫:৮৭) নামাযের প্রতি রাকাতে দিনের মধ্যে বহুবার পঠিত হয়ে থাকে। একে আরো বলা হয় “উম্মুল কিতাব” বা কুরআনের সারবত্তা, কারণ কুরআনের সারগর্ভ বাণী এতে নিহিত রয়েছে। আল-কুরআনের রচয়িতা নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে প্রথমেই বলেছেন যে তাঁর নাম ‘আল্লাহ’। তারপর তাঁর পরিচিতি বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন- তিনি সমুদয় বিশ্ব-জগতের ‘রব্ব’ বা সৃষ্টিকর্তা। এরপর বলেছেন যে তিনি ‘রহমান’ অর্থাৎ সেই সৃষ্ট-জগতের লালন-পালনের সমস্ত উপকরণ প্রদানকারী। তারপর বলেছেন তিনি ‘রহীম’ অর্থাৎ বিশ্ববাসীর প্রত্যেকের কর্মপ্রচেষ্টার ফলদাতা। সঙ্গে সঙ্গে বলেছেন তিনি ‘মালিক’ বা প্রত্যেকের ভালমন্দ ক্রিয়াকলাপের সুবিচারক। আল্লাহ নিজের এই পরিচয় দিয়ে নিজগুণে মানুষকে শিখিয়ে দিচ্ছেন যে, মানুষ যেন কেবল তাঁরই আরাধনা করে এবং তাঁরই কাছে তার সব চাওয়া-পাওয়ার ও সাহায্য-সহায়তার জন্য হাত বাড়ায়। তার জীবনের চলার পথ যেন সহজ-সুগম হয়, পিচ্ছিল ভ্রান্ত পথ থেকে উদ্ধার করে তার প্রতি যেন আল্লাহ্ আশিস্ বর্ষণ করেন।
Be the first to review “আল-কুরআন (বাংলা অনুবাদ)”